Wednesday, October 16, 2024
spot_img
HomeScholarsInnovatorsমূল: শাইখ মুহাম্মদ হিশাম কাব্বানী (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)

মূল: শাইখ মুহাম্মদ হিশাম কাব্বানী (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন [Original Post]

শিরোনামের হাদীসটি সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়া নিজ ‘ক্বায়িদাতুন জালীলাতুন্ ফীত্ তাওয়াসসুলি ওয়াল-অসীলাহ’ (মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: রাবি’আহ বিন হাদী উমাইর মাদখালী সাহেবের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ) পুস্তকের ১৬৬ পৃষ্ঠায়, ৪৯৩ প্যারাগ্রাফে বলেন:

روى ابن تيمية حديثين في هذا الموضوع عن توسل آدم عليه السلام بسيد السادات سيدنا رسول الله محمد عليه افضل الصلاة واتم التسليم عن عبد الرحمن بن زيد بن اسلم عن ابيه عن عمر بن الخطاب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : لما أصاب آدم الخطيئة رفع رأسه فقال : يا رب ، بحق محمد إلا غفرت لي . فأوحى الله تعالى لآدم ومن محمد وهو تعالى أعلم ،فقال آدم يا رب إنك لما أتممت خلقي رفعت رأسي إلى عرشك فإذا مكتوب : لا اله الا الله محمد رسول الله ، فعلمت أنه اكرم خلقك عليك اذ قرنت اسمه باسمك فقال : نعم قد غفرت لك وهو آخر الأنبياء من ذريتك ولولاه ما خلقتك يا آدم . 

অর্থ: (এমনই একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে) আবদুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে, তিনি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে, ‘মারফু’আন’ এবং ’মওকূফান আলাইহ’ (হিসেবে), এ মর্মে যে, “যখন আদম (আলাইহিস সালাম) গন্দম খাওয়ার কাজটি সংঘটন করেন, তখন তিনি আরয করেন: ‘হে আমার প্রভু! আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর হক্ব তথা অধিকারের দোহাই দিয়ে আপনার কাছে পানাহ্ বা ক্ষমা চাই।’ আল্লাহ এমতাবস্থায় বলেন: ‘ওহে আদম (আ:)! তুমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে কীভাবে জানলে, যাঁকে আমি এখনো সৃষ্টি করিনি?’ পয়গম্বর আদম (আ:) উত্তর দেন: ‘হে আমার প্রভু! আপনি যখন আমায় সৃষ্টি করেন এবং আমার মাঝে রূহ ফুঁকে দেন, তখন আমি আমার মাথা তুলে দেখতে পাই (উচ্চ) আরশের সীমায় লেখা আছে – লা’ ইলা’হা ইল্লা’ল্লা’হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা’হ। আমি বুঝতে পারি, আপনি আপনার সবচেয়ে প্রিয় কারো নাম (মোবারক)-ই আপনার পবিত্র নামের পাশে স্থাপন করতে পারেন।’ অতঃপর আল্লাহতা’লা বলেন, ‘ওহে আদম (আ:)! আমি তোমায় ক্ষমা করলাম; মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) না হলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’ (لولاه ما خلقتك يا آدم)।”

অতঃপর ইবনে তাইমিয়া বলেন:

“এবং এই হাদীসটি আল-হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম আল-ফিহরীর হাদীস থেকে, তিনি ইসমাঈল ইবনে সালামা থেকে। আর হাকিম বলেন, ‘এবং এটাই প্রথম হাদীস যা আমি এই কিতাবে আবদুর-রহমান থেকে উল্লেখ করেছি। হাকিম আরো বলেছেন, এটা সহীহ। এটা শাইখ আবু বকর আল-আজুরী কর্তৃক ‘আশ-শরীয়াহ’ গ্রন্থে হযরত উমর (রা.) হতে  ‘মওকুফান’ (হাদীস) হিসেবে উদ্ধৃত, যা আবদুল্লাহ ইবনে ইসমাঈল ইবনে আবী মরিয়ম ’মওকুফান’ (হাদীস) হিসেবে আবদুর রহমান ইবনে যায়েদ ইবনে আসলাম থেকে বর্ণনা করেছেন।”

আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি যে ইবনে তাইমিয়া এখানে এমন একটি হাদীস পেশ করছেন যা আল-হাকিম কর্তৃক সহীহ হিসেবে সত্যায়িত এবং এটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে বর্ণিত হাদীস এ মর্মে যে, “মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না হলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না [হে আদম]”। আর এটা অনুরূপ হাদীসগুলোর প্রতি নানা আপত্তির বিরোধিতা করে, যেমনটি হযরত জাবির (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর বর্ণিত হাদীস, যেখানে আল্লাহ বলেন, “লাও লাকা মা খালাকতুল খালক্ব” (لولاك ما خلقت الخلق) – “যদি আপনি না হতেন (হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তবে আমি কোনো কিছু সৃষ্টি-ই করতাম না।”

ইবনে তাইমিয়া এরপর আলোচ্য হাদীসের প্রামাণিকতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় যান, অথচ এর আগেই তিনি বলেছেন আল-হাকিমের মতে হাদীসটি সহীহ। তিনি অনুরূপ উদাহরণসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন যে এই হাদীসটি দুর্বল, কারণ আল-হাকিম অন্যান্য মুহাদ্দীস পণ্ডিতদের মতো শক্তিশালী নন। তাঁর পেশকৃত কিছু যুক্তি এক্ষণে পরীক্ষা করা যাক।

আল-হাকিম কর্তৃক বর্ণিত সহীহ হাদীসটিকে যয়ীফ/দুর্বল প্রমাণের পক্ষে যুক্তি হিসেবে উপরোল্লিখিত ‘ক্বায়িদাতুন জালীলাতুন্ ফীত্ তাওয়াসসুলি ওয়াল-অসীলাহ’ পুস্তকের ১৭২ পৃষ্ঠায়, ৫০৬ প্যারাগ্রাফে ইবনে তাইমিয়া বলেন: 

“ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন যে আল্লাহতায়ালা শনিবার মাটি সৃষ্টি করেছেন (خلق الله عز وجل التربة يوم السبت)। তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী কতিপয় মুহাদ্দীস আলেম এ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন; যেমন সর্ব-ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন ও বুখারী এবং অন্যান্যরা। আর তাঁরা এটাকে ভুল প্রমাণ করে জানিয়েছেন যে এটা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বা বাণী নয়। এর প্রামাণ্য দলিল তাঁদের সাথে রয়েছে। কেননা কুর’আন-সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত যে আল্লাহতায়ালা আসমান-জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করেন এবং তাঁর শেষ সৃষ্টি ছিলেন পয়গাম্বর আদম (আলাইহিস্ সালাম); আর তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো শুক্রবার দিন। (আলোচ্য) এই হাদীসটি যা নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান, তা ইঙ্গিত করে যে আল্লাহ সাত দিনে জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। অথচ এর চেয়েও সহীহ ইসনাদে বর্ণিত হয়েছে যে সৃষ্টির সূচনা হয়েছিলো রোববার।” [ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.) বর্ণিত হাদীস প্রসঙ্গে ইবনে তাইমিয়ার ভাষ্য]

এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই প্যারাগ্রাফের পাদটীকায় মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাবি’আ বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালী বলেন, “আমি গবেষণা করে এই হাদীস সম্পর্কে ইয়াহিয়া বিন মাঈনের কোনো ভাষ্য খুঁজে পাইনি।”

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সাহেব আরেকটি পাদটীকা যোগ করে তাতে লেখেন, “ইমাম বুখারী (রহ.) নিজ ‘আত্ তারীখুল কবীর’ ১/১/৪১৩-৪১৪ গ্রন্থের হযরত খালিদ বিন যায়দ আবূ আইয়ূব আনসারী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর জীবনী অধ্যায়ে এবং ইসমাঈল ইবনে উমাইয়্যা বর্ণনা করেন হযরত খালিদ বিন যায়দ আবূ আইয়ূব আনসারী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে রাফঈ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে, তিনি হযরতে আবূ হুরায়রাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, যিনি বলেন – خلق الله عز وجل التربة يوم السبت – ‘আল্লাহ (পৃথিবীর) মাটিকে সৃষ্টি করেন শনিবারে।’ তাঁদের কেউ কেউ এটাকে হযরত কা’আব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে হযরত আবূ হুরায়রাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর তরীক্ব বা সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং সেটা আরো বেশি বিশুদ্ধ বর্ণনা।”

পরিশেষে, অধ্যাপক মাদখালী তৃতীয় আরেকটি পাদটীকা যুক্ত করে বলেন, “আমি এমন একটি মারফু’ হাদীসও পাইনি যা হুবহু বিবৃত করে যে সৃষ্টির সূচনা রোববারে হয়েছিলো। তবে এ বিষয়ে সর্ব-হযরত ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ ও আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) হতে প্রাপ্ত ‘আসার’ (বাণী) বিদ্যমান যা ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (রহ.) তাঁর ‘তারীখ’ (ইতিহাস) পুস্তকে (১/৪৭) উদ্ধৃত করেছেন। আর সর্ব-হযরত ইবনে আব্বাস ও ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর ‘আসার’ বর্ণনাকারীদের ইসনাদে রয়েছেন ইসমাঈল ইবনে আবদির রহমান সা’দী যিনি বিশ্বস্ত (?) তবে শিয়া মতবাদী হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। অপর দিকে, ইবনে সালাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর ‘আসার’-এর ব্যাপারে (বলতে হয়), এটার ইসনাদে রয়েছেন আবূ মা’আশার নাজীহ বিন আবদির রহমান সিন্দী যিনি যয়ীফ/দুর্বল; এতে আরো রয়েছেন আবদুল্লাহ ইবনে সালিহ। আমি জানি না তিনি কে। মনে হয় তিনি লাইস (রহ.)-এর লেখক, আর তাই যদি হয় তবে তিনিও যয়ীফ…।”

এখানে আমরা দেখতে পাই যে ইমাম হাকিম বর্ণিত আলোচ্য হাদীসটিকে (لولاه ما خلقتك يا آدم) দুর্বল/যয়ীফ প্রমাণ করতে ইবনে তাইমিয়া বাহুল্য যুক্তির ওপর একটি তাসের ঘর নির্মাণ করেছেন যার মূলভিত্তিই নড়বড়ে। আর এটা যে-কোনো বড় মাপের আলেমের ক্ষেত্রে মহা ঘাটতি ও দুর্নীতিপরায়ণতার ইঙ্গিতবহ। আল্লাহই ভালো জানেন।

আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি যে ইবনে তাইমিয়া দাবি করেছেন ইমাম মুসলিম (রহ.) ভ্রান্ত ছিলেন এই সত্যের উপর ভিত্তি করে যে “তাঁর চেয়েও বেশি জ্ঞানী ব্যক্তিবৃন্দ” এ বর্ণনার সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন, ইমাম ইয়াহিয়া বিন মাঈন (রহ.) থেকে আরম্ভ করে। আশ্চর্যজনক হলেও আমরা দেখতে পাই যে ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন (রহ.) এই হাদীসের বিরুদ্ধে কোনো কথাই বলেননি!!! 

এরপর ইবনে তাইমিয়া প্রদর্শনের চেষ্টা করেন যে ইমাম মুসলিম (রহ.) কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদীসকে অন্যান্য হাদীসশাস্ত্রবিদ “যাঁরা তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী,” তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন; আর ইমাম মুসলিম (রহ.) যে হাদীসকে সহীহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তা সহীহ নয়, কারণ ইমাম বুখারী (রহ.) তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা এরপর দেখতে পাই যে, ইমাম বুখারী (রহ.) নিজেই এটা বর্ণনা করেছেন

পক্ষান্তরে, “আল্লাহ শনিবারে (পৃথিবীর) মাটি সৃষ্টি করেছেন” মর্মে এই হাদীসের বিপরীতে ইবনে তাইমিয়া তাঁর যুক্তির সমর্থনে “সৃষ্টির সূচনা রবিবারে হয়েছিলো” মর্মে কথিত যে “হাদীস”টি ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে কোন হাদীসই নয়, বরং এটা একটা ‘আসার’ যার কোনো যাচাইযোগ্য সত্যতাই নেই! আর এগুলো হচ্ছে একজন ওহাবী মুহাক্কিকের কথা!

অতঃপর ইবনে তাইমিয়ার এই আলোচনার সাথে যুক্তকৃত আরো একটি পাদটীকায় অধ্যাপক মাদখালী ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর হাদীসের প্রসঙ্গে বলেন, “এটা ইমাম মুসলিম (রহ.) তাঁর গ্রন্থের ‘মুনাফিকদের বর্ণনা এবং তাদের সম্পর্কিত আইন’ কিতাবের অধীন ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়ে (হাদীস নং ২৭) বর্ণনা করেছেন; আরো বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ (রহ.) নিজ ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে, ২/৩২৭; ইমাম ইবনে মাঈন ‘আত-তারীখ’ পুস্তকে, ৩/৫২; এবং ইমাম বায়হাকী (রহ.) ‘আল-আসমা ওয়াস-সিফাত’ বইয়ে, পৃষ্ঠা ৩৬৪।”

এখানে আমরা আবারো দেখতে পাই কীভাবে ইবনে তাইমিয়া ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর যুক্তি প্রয়োগ করেছেন। ওপরের পাদটীকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ইমাম ইবনু মাঈন (রহ.) এটা বর্ণনা করেছেন, অথচ ইবনে তাইমিয়া দাবি করেছেন, “এবং তাঁর (মানে ইমাম মুসলিমের) চেয়েও বেশি জ্ঞানসম্পন্ন হাদীসবিদবৃন্দ এ হাদীসের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন; উদাহরণস্বরূপ, ইমাম ইবনু মাঈন (রহ.)…।”

সুবহানাল্লাহ! একজন লোক হযরতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কতোখানি ঘৃণা করলে এমন একটি হাদীসকে দুর্বল প্রমাণের অসৎ উদ্দেশ্যে এতো বড় প্রতারণার পর্যায়ে যেতে পারে, যে হাদীসটি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মহাসম্মানিত করে এবং তাঁর মধ্যস্থতায় তাওয়াসসুল/অসীলাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে!!! [বঙ্গানুবাদকের নোট: এতে সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে তাঁর রাসূল হওয়ার বিষয়টিও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়! আল-হামদু লিল্লাহ!] 

*সমাপ্ত*